রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওয়ার্কশপ 'দাও গো সুরের দীক্ষা'
7 January, 2025 - By Editor Role
3 January, 2025 - 11:30:00 AM
স্বপন সোম সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত গবেষক, পশ্চিমবঙ্গ। গত শতকের চারের দশকে কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে সংযুক্তি তাঁর জীবন ও গানকে যেন এক অন্য রঙে রাঙিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা পেয়ে যাই এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর যার আশ্রয় রবীন্দ্রনাথের গান এবং বিভিন্ন রচয়িতার গণচেতনার গান। বস্তুত রবীন্দ্রনাথের গানও যে বহু মানুষকে উদ্দীপিত করতে পারে, জীবন সংগ্রামে সাহস জোগাতে পারে তা গণনাট্য সংঘের সূত্রে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সুচিত্রা মিত্র এবং তাঁর সতীর্থরা দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। 'আমার মুক্তি আলোয় আলোয়', 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি', 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে' বা 'সার
আরও পড়ুন2 January, 2025 - 12:05:00 PM
দিতিপ্রিয়া সরকার বাচিক শিল্পী ও অভিনেত্রী, পশ্চিমবঙ্গ। জীবনের নানা বাঁকে কত কী যে অপেক্ষা করে থাকে! কতরকম তার বিচিত্র রূপ, কত নতুন উপলব্ধি, কতভাবে কত মানুষকে জানা, কতভাবে নিজেকেও আবিষ্কার করা। নির্ভার ছোটবেলায় মন যখন একেবারে একতাল মাটির মতো, যখন সব কিছুতেই ছিল বিস্ময়, সবটুকুই ছিল অচেনা, কোথাও এতটুকুও মালিন্যের ছোঁয়া লাগার অবকাশটুকুও ছিল না। ছিল শুধু অনেক কিছু জানার, বোঝার আগ্রহ। সে বেশ কাটত দিনগুলো। শৈশব থেকে কৈশোরে পৌঁছে যাওয়া একেবারে কোনও জটিলতার সামনাসামনি না হয়ে। পরিবার পরিজন বন্ধুরা মিলে সে এক অনাবিল আনন্দের জগৎ। সহজ-সুন্দর-স্বাভাবিক। জীবন যখন এসে দাঁড় করালো যৌবনের দরজায়, একটু করে কোথায়
আরও পড়ুন31 December, 2024 - 11:30:00 AM
স্বর্ণালী গোস্বামী সাংবাদিক ও লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। বছরটা শুরুই হল রাজনীতির আবহের মধ্যে। রাজ্যের প্রান্তিক এলাকা সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটল, তা বিশ্বের কাছে নঞর্থক দৃষ্টিতে পাদপ্রদীপে নিয়ে এল জায়গাটিকে। আসলে যতই ভাবি, কিছু ক্ষেত্রে রাজনীতি এড়িয়ে চলব, তা আমি যেন কিছুতেই পেরে উঠছিনা আজকাল। রাজ্য তথা দেশের রাজনীতি এসেই পড়ছে ভাবনার মধ্যে। তাই ভাবলাম শুরুই করি এই প্রসঙ্গ দিয়ে, তারপর না হয় আস্তে আস্তে প্রসঙ্গান্তরে এগোনো যাবে। তো যেটা বলছিলাম, রাজ্যে সন্দেশখালি হলেও দেশে কিন্তু বছর শুরু হল রাম মন্দির উদ্বোধন দিয়ে। হৈ হৈ রৈ রৈ কান্ড একেবারে। ১৯৯২ সালের বছরের শেষে যে ইস্যুর শুরু হয়েছিল, তার পরিসমাপ্তি ঘ
আরও পড়ুন27 December, 2024 - 11:09:00 AM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পর্বের পর... বিরূপাক্ষর এতক্ষণে খেয়াল হলো, যে হলুদ দামি টাওয়েল নিয়ে তিনি স্নানে ঢুকেছিলেন, তার বদলে তাঁর হাতে এখন একটা তেল চিটচিটে পুরোনো লাল গামছা। পিতলের সাবানদানিটা অনেক পুরোনো। তার উপরে হালকা সোনালি রঙের বলের মতো দেখতে একটা হলদেটে সাবান, যা তিনি কোনোদিন দেখেননি। তাঁদের ছোটবেলায় 'বাটি সাবান' বলে একটা অত্যধিক ক্ষারযুক্ত কাপড় কাচার সাবান তাঁর বাড়িতে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এ বস্তু সে বস্তু নয়। তুলনায় অনেক নরম ও সুগন্ধযুক্ত। স্নান শেষে অন্যমনস্কভাবে অভ্যাসবশত দরজার ছিটকিনি খুলতে গিয়ে দরজার উপরের নির্ধারিত স্থানে হাত দিয়ে আবার চমক
আরও পড়ুন26 December, 2024 - 11:30:00 AM
পলাশ বন্দোপাধ্যায় শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গ। এখন বাগবাজার বাটা যেখানে, তার ঠিক পিছনে কয়েক পুরুষ ধরে চলে আসা অধুনা সোনার কারবারি বিরূপাক্ষ বসাকের, গয়নার দোকান বসাক জুয়েলারি। সঙ্গে বাগান সমেত পুরোনো বনেদি বাড়ি। আজকের জাঁকজমকের যুগে ব্র্যান্ডেড জুয়েলারিগুলোর ঠাটবাটের কাছে এ দোকান জৌলুসহীন, যদিও একসময় এর খুব নামডাক ছিল। সে যুগে অভিজাত বাঙালি ও সাহেবসুবোরা স্ত্রী, বান্ধবীদের নিয়ে এখানে শুধু গয়না কিনতেই নয়, নিখাদ আড্ডা মারতেও আসতেন। পুরোনো কলকাতার ইতিহাস এমনটাই বলে। এখন বিরূপাক্ষর বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই। শরীরের বাঁধন ভালোই। তিনিই শেষ বংশধর হিসেবে এই দোকানটি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর একমাত
আরও পড়ুন25 December, 2024 - 11:30:00 AM
অনিন্দিতা সেন চৌধুরী শিক্ষিকা, লেখিকা, পশ্চিমবঙ্গ। সেটা ছিল ২০১৫ সাল। একটা ছোট্ট মিষ্টি পশমের বলকে নিয়ে এলাম বাড়ি আমাদের একমাত্র তনয়ার আবদারে। আমার ঘোর আপত্তি ছিল কারণ শৈশবের ঐ বিচ্ছেদ বড় বেদনাময় ছিল আমার। কিন্তু দুই working parents আর nuclear family তে single child এর একাকীত্বের কথা ভেবে আমরা রাজী হয়ে গেলাম। সর্বোপরি আমরা তিনজনে সততই পশুপ্রেমী, বিশেষত সারমেয়প্রেমী। তিল তিল করে যত্নে আদরে বড় হয়ে উঠলো আমাদের নিকো ওরফে নিকোলাস চৌধুরী। বাড়ির অন্যতম সদস্য যার ইচ্ছে বা মতামত ছাড়া একটি পাতা নড়ার ও উপায় ছিলনা। কথা না বলেই সে তার মোহিনী দুটি চোখের ভাষায় আমাদের চাইতে অনেক বেশি প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখ
আরও পড়ুন24 December, 2024 - 11:30:00 AM
বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রতিবেদন: চলে গেলেন ভারতীয় সমান্তরাল চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে সোমবার সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ, সকল যন্ত্রনার অবসান ঘটিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শ্যাম বেনেগাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। শ্যাম বেনেগাল ভারতীয় সমান্তরাল সিনেমার এক বিশেষ নাম। ১৯৭৪ সালে 'অঙ্কুর' সিনেমা পরিচালনার মাধ্যমে তাঁর আত্মপ্রকাশ। এরপর তিনি ২০টির-ও বেশি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। তিনি কিছু সিনেমার প্রযোজনাও করেছেন। কিছু নাটক এবং টেলিভিশন ধারাবাহিকও নির্মাণ করেছেন। অঙ্কুরের পরে 'নিশান্ত' (১৯৭৫), 'মন্থন' (১৯৭৬), এবং 'ভূমিকা'...
আরও পড়ুন23 December, 2024 - 11:05:00 AM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। প্রথম পর্বের পর... একদিন খ্যাতিমান উদার গঙ্গোপাধ্যায় লেখক মশায়টির গৃহে হাজির হলাম। গড়িয়াহাটের বহুতল বাড়ির দশতলা। সংকোচ নিয়েই গেছি। ব্যস্ত লেখক। তাঁর সময় নষ্ট করার দ্বিধা আমার নিজের মধ্যেই বেশি। কিন্তু তিনি কনিষ্ঠ কলমিচিটিকে নিরাশ করলেন না। সুতরাং আমি অকপট হলাম। বললাম, রামকৃষ্ণ ঘরনী শ্রীমা সারদামণির জীবন অবলম্বনে উপন্যাস লিখতে চাই। দু-এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে সুনীল চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলেন অধমের দিকে। বোধহয় জরিপ করতে চাইলেন আমার সঙ্কল্পের দৃঢ়তা, একাগ্রতা... এবং হয়তো যে-কথা বলছি তার ওজন ও অভিঘাত সম্পর্কে কতটা সতর্ক এবং সচেতন আমি। তারপর একটাই প্র
আরও পড়ুন22 December, 2024 - 11:05:00 AM
নবকুমার বসু প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। অনেক দিন আগে দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে গেছি। কন্যাকুমারিকা থেকে বিবেকানন্দ শিলা দেখতে যাচ্ছি। সমুদ্রে ওই সংক্ষিপ্ত জলপথ যাত্রাটিও তখন খুব সুগম ছিল না। ঢেউয়ে দোদুল্যমান ছোট নৌকা ভারতের মানচিত্রের নিম্নতম বিন্দু থেকে রওনা হয়ে কয়েক মিনিটে বিবেকানন্দ শিলা নামের সেই অনুচ্চ পাহাড়টিতে পৌঁছে দিত। সম্ভবত নব্বই-পচানব্বই বছর আগে বিবেকানন্দ সেই তৎকালীন পাথরে টিলাটির ওপরে বসে সামুদ্রিক বিচ্ছিন্নতা ও নীরবতার মধ্যে ধ্যান করেছিলেন। পরবর্তীকালে সেটি সাজিয়ে গুছিয়ে, পরিচ্ছন্ন করে সংগ্রহশালার চেহারায় একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হয়। নৌকা থেকে নেমে আমরা খালি পা
আরও পড়ুন19 December, 2024 - 11:30:00 AM
শ্রাবণী রায় আকিলা বিশিষ্ট লেখিকা, আমেরিকা। আজকাল নিজের বেশ বয়স হয়েছে বুঝতে পারি। কিছু বলতে গেলেই একটা "আমাদের সময়ে সেই আশি, নব্বই দশকে" বলে কথা শুরু করি। তা সেভাবেই মনে পড়ে তখনকার দিনে বাড়িতে অতিথি অভ্যাগত আসার কথা। মধ্যবিত্ত দু-তিন কামরার বাড়ি। সবসময় যে তাঁদের আপ্যায়ন করে বসানোর জন্য আলাদা করে কোনও নির্দিষ্ট ঘর থাকত তেমনও নয়। থাকলেও একদিকে পাতা থাকত একটা চৌকি বা ছোট ডিভান জাতীয় কিছু বা সরাসরি যাকে বলে একটা খাট। উল্টো দিকে লাল মেঝেতে হয়ত গোটা তিনেক বেতের চেয়ার বা অতি সাধারণ মানের একখানা দুই-তিনজন বসতে পারার মতো সোফা। টিভি কভার দিয়ে ঢাকা একটা টিভি। তার মাথার ওপরে একটা ফুলদানি। কারোর কারোর বাড়
আরও পড়ুন